নিজস্ব সংবাদদাতা ।। যশোর জেলা কোতয়ালী মডেল থানার বাদিয়াটোলা এলাকায় কুয়েত প্রবাসী মেহের আলী হত্যার রহস্য উদঘাটন পিস্তলের ৪ রাউন্ড গুলি, হত্যাকাজে ব্যবহৃত ১টি পালসার মোটর সাইকেল,১টি ওয়াকিটকি,১টি মোবাইল ফোনসহ ৩-কে গ্রেফতার করছে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন করেছেন পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ। এসময় তিনি বলেন ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে এলআইসি টিমের একটি চৌকষ টিম সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাটোর সিংড়া থানা ও কোতয়ালী মডেল থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যার ঘটনার সাথে সরাসরি ৩জন জড়িতসহ মোট ৫জন-কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: (১) মোঃ তারেক হোসেন (২২),পিতা-আঃ কুদ্দুস,গ্রাম-বাদিয়াটোলা,থানা-কোতয়ালী ,জেলা-যশোর। (২) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (২১),পিতা-নুরুল ইসলাম দুলাল,গ্রাম- বাঁশবাড়িয়া,থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর। (৩) মোঃ রিয়াজ উদ্দিন (২৩),পিতা-হাফিজুর রহমান,গ্রাম- ঝাউদিয়া,থানা-কোতয়ালী,জেলা-যশোর। এছাড়া আসামীদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত আলামত: ৪ রাউন্ড পিস্তলের গুলি,হত্যার মিশনে ব্যবহৃত ১টি পালসার মোটরসাইকেল,১টি ওয়াকিটকি,১টি মোবাইল ফোন।
যশোর জেলার ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন গত ৫ আগষ্ট অভ্যুত্থানের পর যশোর বাদিয়াটোলা এলাকায় কুয়েত প্রবাসী বিএনপি সমর্থক মেহের আলী-কে গত ৯-০৮-২০২৪ তারিখ রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের সময় অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীরা গুলি করে হত্যা করে। উক্ত বিষয়ে মেহের আলীর পিতা বাদী হয়ে গত ১২-৮-২০২৪ তারিখে কোতয়ালী মডেল থানা একটা মামলা করেন মামলা নং-১৩।
মামলার পরিপেক্ষিতে ১১ই নভেম্বর বিকাল ৩টা ৩০মিনিটের সময় নাটোর সিংড়া থানার ভুমি অফিস এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পলাতক আসামী তারেক হোসেন-কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে ১২ই নভেম্বর রাত ১টা ৩০ মিনিটের সময় যশোর নলডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভাড়া করা কিলার সাজ্জাদ-কে গ্রেফতার করা হয়। এরপর যশোর নতুন খয়ের তলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাত ৪টা ১০ মিনিটের সময় রিয়াজ উদ্দিন নামের আরেক জন-কে গ্রেফতার করে তাদের কাছে থাকা ৪ রাউন্ড গুলি, ওয়াকিটকি,হত্যার মিশনে ব্যবহৃত ১টি পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।
উক্ত বিষয়ে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ সময় তিনি বলেন, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,নিহত মেহের আলী এলাকায় তার প্রতিপক্ষ প্রবাসী শহর আলী ও তার ছেলে হাসানদের সাথে দীর্ঘ দিনের শত্রুতার কারণে মেহের আলী সরকার পতনের পর শহর আলীর বাড়িতে আক্রমনের হুমকি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদেশ থেকে হত্যার পরিকল্পনা করে ভাড়া কিলার আকাশ ও সাজ্জাদ-কে ১ লক্ষ টাকা চুক্তি করে তারেক,রিয়াজ ও রকির সহযোগীতায় গুলি করে হত্যা করে মেহের আলী-কে। এর আগে আকাশ ও রকি-কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়া জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব নূর-ই-আলম সিদ্দিকী স্যার এর নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি,ডাকাতি, অপহরণ,হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধারসহ সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অভিযানটিও তার একটি অংশ। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ পুলিশের শপথ-দেশের মানুষকে রাখবো নিরাপদ,সত্য উদঘাটনে বদ্ধ পরিকর,যশোর জেলা পুলিশ।
এবিডি/সিয়াম